দীর্ঘ এক যোগের পর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করেছেন তৃনমূল নেতাকর্মিরা। ভোটে সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন মোঃ নেকদার আলী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ কুতুব উদ্দিন।
বুধবার (১২ ই ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত স্থানীয় পৌর শহিদ মিনার মাঠ সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ভবনে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের মাধ্যমে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার পৌর শহিদ মিনার মাঠে সম্মেলনে বিজয়ীদের ফলাফল ঘোষনা করেন।
সম্মেলনে ৫ টি পদের বিপরীতে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে তিন জন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুই জন, সহ-সভাপতি পদে দুই জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে দুই জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দুই জন।
আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি পদে নেকদার আলী (আনারস প্রতীকে) ১৯৪ ভোট, সাধারন সম্পাদক পদে কুতুব উদ্দিন (মাছ প্রতীকে) ২৫৩ ভোট, সহ-সভাপতি পদে রাজু নাগ (জগ প্রতীকে) ২১৭ ভোট, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে নাইমুল আলম নাঈম ( কলস প্রতীকে) ২২৯ ভোট ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আরফান আলী ( মাইত প্রতীকে) ২১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সভাপতি পদে নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সাবেক সভাপতি ফজলু মিয়া ( চেয়ার প্রতীকে) পেয়েছেন ১৭৯ ভোট ও আব্দুস সত্তার মিয়া( ছাতা প্রতীকে) পেয়েছেন ৪২ ভোট। সভাপতি পদে বাতিল ভোট ৩০ টি। সাধারণ সম্পাদক পদে সাহিদুল ইসলাম ( হরিণ প্রতীকে) পেয়েছেন ১৭১ ভোট, সাধারণ সম্পাদক পদে বাতির ভোট ২১ টি। সহ-সভাপতি পদে জাহাঙ্গীর আলম ( তারা প্রতীকে) পেয়েছেন ১৯৯ ভোট, সহ-সভাপতি পদে বাতিল ভোট ২৯ টি। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে রাজিব হাসান ( আম প্রতীকে) পেয়েছেন ১৯৭ ভোট। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে বাতিল ভোট ১৯ টি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মিটন মিয়া (মোটর সাইকেল প্রতীকে) পেয়েছেন ২০৮ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বাতিল ভোট ২৩ টি। কাউন্সিলে ৫শ’ ১৩ জন ভোটারের মধ্যে ৪ শ ৪৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা উৎসাহ উদ্দীপনা। নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে ভোট কেন্দ্র ও সম্মেলনের মাঠে। এছাড়া সম্মেলন মাঠের প্রবেশ পথদ্বারে তৈরী করা হয়েছে স্বাগতম গেইট।
নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এডভোকেট মুদ্দত আলী, নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট মোঃ আবুল ফজল ও এডভোকেট আফজাল হোসেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সিলেটের বিভাগীয় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমেদ আলী মুকিব,
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির আহব্বায়ক আলী আহম্মদ জনফুল মিয়া ও সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম-আহব্বায়ক খালেদুর রশীদ ঝলক।
সম্মেলন শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় ও দলিয় পতাকা উত্তোলন করেন অতিথিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট বিভাগীয় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন, তারেক রহমানের বাহিরে দলে কোন ভাই সৃষ্টি করা যাবে না। খেয়াল রাখবেন এই দল জিয়াউর রহমানের দল, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে কষ্ট, শ্রমে ঘামে প্রতিষ্টিত হচ্ছে। এই দল আমাদের অহংকার। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই দলে নেতৃত্ব দেয়া। এই দল থেকে কোন অন্যায় করা যায় না। ৪০ বছর ধরে এই দলের কর্মি আমরা। মাঠে মাঠে জেলে জেলে বড় হয়েছি। আমরা মানুষকে ভালেবাসতে হবে। মানুষের ভালোবাসায় শিক্ত হয়ে তারেক রহমান যাকে ধানের শীষ দিবেন আমরা একসাথে সবাই তার পক্ষে কাজ করে এই আসনটি বিজয়ের রেজাল্ট শিট খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে তুলে দিতে চাই।
বক্তব্য রাখেন, জেলা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।