ঢাকাThursday , 27 February 2025
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. জনপ্রিয় সংবাদ
  10. জাতীয়
  11. বিনোদন
  12. মতবিনিময় সভা
  13. রাজধানী
  14. রাজনীতি
  15. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জামালগঞ্জে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Link Copied!

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় পাগনার হাওরের পানি নিস্কাশনের নামে টাকা আত্মসাৎতের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের ও অসত্য তথ্য দিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর নামক একটি পত্রিকায় “পাগনার হাওরের বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে মানহানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ কৃষিবিষয়ক সম্পাদক জুলফিকার চৌধুরী রানা ও ফেনারবাঁক ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী তৌফিক।

বৃহস্পতিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামালগঞ্জ প্রেস ক্লাব হলরুমে উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ফেনারবাঁক গ্রামের জুলফিকার চৌধুরী রানা ও ফজলুল কাদের চৌধুরী তৌফিক যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে লিখিত বক্তব্যে জুলফিকার চৌধুরী বলেন, সাবেক স্বৈরাচার সরকারের পলাতক কোনো এক দোষরের ফরমায়েশি অভিযোগ এটি। নিকট অতীতে আমার ও আমার পরিবারের মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য মুলক অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগকারী আশরাফ খান তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে, ইউএনও অফিস থেকে ৫০ হাজার (পঞ্চাশ হাজার) টাকা খাল খননের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এবং সেটির বাস্তবায়নে আমি কাজ করেছি। কিন্ত এটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত উপজেলা প্রশাসন থেকে ইউএনও মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিনের মাধ্যমে খননের কাজ করা হয়েছে। যেখানে আমি বা তৌফিক চৌধুরীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এছাড়াও অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, খাল খননের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লক্ষ (এক লক্ষ) টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের যা আওয়ামী সরকারের পলাতক এক দোসরের ফরমায়েশি ইশারায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তারই একান্ত ভাজন শান্তিপুর গ্রামের আশরাফ খান। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে গজারিয়া সুইস গেইটের পশ্চিম অংশে অর্থাৎ সুরমা নদীর পাড়ের অংশটি পলি মাটি দিয়ে সম্পূর্ন ভাবে ভরাট হয়ে গিয়েছিলো। যা ইউএনও মহোদয় ভিজিট করে আসছেন এবং এটি খননের জন্য পূনরায় তিনি আরো ১০ (দশ হাজার) টাকা সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ শাহাব উদ্দিনকে দিয়ে খননের কাজ করিয়েছেন।

এতে পর্যাপ্ত কাজ না হওয়ায় কৃষকের আহাজারি স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে, যা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। যেহেতু আমি একজন রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি ও ফেনারবাঁক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে ৩ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। এবং সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে ৫১ ভোটে আমাকে কৌশলে পরাজিত করানো হয়। এলাকার জনগন বারবার আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করেছেন। তাই এলাকার কৃষকের জন্য আমার দায়বদ্ধতা আছে বলেই নিজ উদ্যোগে কয়েক গ্রামের কৃষক ও নেতৃস্থানীয়দেরকে নিয়ে নিজেরা অর্থ প্রদান করে স্বেচ্ছাশ্রম ও শ্রমিকদের দিয়ে হাওর থেকে পানি নিস্কাশনের কাজটি সম্পন্ন করার লক্ষে হাওরের বিভিন্ন অংশে পলিমাটি খননের কাজ শুরু করি। যা গত ৯ ডিসেম্বর আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তারিত প্রচার করেছি। অভিযোগকারী শান্তি পুর গ্রামের আশরাফ খান ও তার বড় ভাই মোজাম্মেল খান গত ৫ আগষ্টের পর আমাদের উপর মিথ্যা ও লুটপাটের মামলা করেছিল। পরবর্তীতে তদন্ত করে তা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। মোজাম্মেল হক খান পশ্চিম ফেনারবাঁক গ্রামের সামনে গুদারা ঘাটে কানাইখালী নদীর তীর দখল করে একটি ঘর নির্মান করে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা করে এলাকার হাজারো কৃষকের সমস্যা সৃস্টি করে এতে বাধা দিলে। এর জেরেই তারা দুই ভাই আমাদেরকে হয়রানি করার লক্ষে পূনরায় এই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে তৌফিক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, অভিযোগকারী শান্তিপুর গ্রামের আশরাফ খান ফেনারবাঁক ইউনিয়নের কৃষকলীগের সদস্য, তার বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ আছে। সে একজন দুষ্কৃতকারী লোক। খাল খননের নামে অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগটি দায়ের করেছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা দুইজন এই মিথ্যা অভিযোগ, সংবাদ প্রকাশ ও তার লোকজন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং তদন্ত করে মানহানির বিচার দাবি করছি।