সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনদের হামলায় স্বামীর আহত হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্ত্রীর পক্ষের লোকেরা। তারা জানিয়েছেন, স্বামীর মারধরে আহত তাদের মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে দুই পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০০৮ ইং সনে তাজপুর গ্রামের আব্দুল বাছিত পাশ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের মন্নান মিয়ার মেয়েকে পারিবারিকভাবে বিবাহ করেন। তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে আছে। আহত আব্দুল বাছিত জানিয়েছেন, ২০২২ ইং সনে ওমান প্রবাসী শ্যালক ফারুক মিয়ার মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা খরচায় ওমানে যান তিনি। কথা অনুযায়ী কাজ ও আকামা লাগানোর ব্যবস্থা করে না দেওয়ায় শশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। পরে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরে শশুরের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবী করেন তিনি। এ নিয়ে বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌঁছে। আব্দুল বাছিত অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়ির পাশ্ববর্তী নদীর ওপাড়ে চন্ডিপুর গ্রামে আমার স্ত্রীর মামার বাড়ি। তারা স্থানীয় প্রভাবশালী। কোন বিষয়ে আমরা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলেই তারা আমার বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধমকি ও আমাকে মারধর করে। একইভাবে শনিবার ওই টাকা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় আমার শশুর, মামা শশুর, শ্যালকসহ তাদের কয়েকজন লোক নদী পাড় হয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। আমি ও আমার চাচাতো ভাইকে মারধর করে আহত করে। হামলাকারীরা আমার বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তাজপুর গ্রামের আবুবকর, জালাল মিয়া, সেলিম মিয়াসহ কয়েকজন বলেন, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতেই পারে। স্ত্রীর পক্ষের লোকজন আমাদেরকে বিষয়টি জানাতে পারতেন। আমরা চেষ্টা করতাম মিমাংসার জন্য। কিন্তু তারা যেভাবে ভিন্ন গ্রামে এসে জোরজবরদস্তি করলেন, এটা ঠিক হয়নি।
দিরাই থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে দুই পক্ষেই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।