সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে চলমান মৌসুমে অধিকাংশ হাওর বা বিল শুকিয়ে চলবে মৎস নিধন।এরিমধ্যে কয়েকটি বিল শুকিয়ে মাছ ধরার খবর পাওয়া গেছে। বিল শুকিয়ে মাছ ধরার দরুন বর্ষার পানিতে মাছ পান'না মৎস্যজীবি জেলেরা।এবং ধ্বংস হচ্ছে মা'মাছের প্রজনন ও অসংখ্য মাছের প্রজাতি।
বর্ষার মৌসুমে পরিশ্রমের তুলনায় জেলেদের মিঠেনা অর্থনৈতিক চাহিদা।এর প্রভাবে গ্রামের বাজার সহ উপজেলা সদরে ব্যবসায় ধ্বস নামছে।দেশীয় মাছের প্রজনন মৌসুম শীতের পরেই বসন্ত ও গ্রীষ্মে জলাশয় শুকিয়ে মা'মাছ ও মাছের প্রজনন ধ্বংস হচ্ছে বলে দাবী করছেন হাওর গবেষকগণ।এমতাবস্থায় হাওরের কূয়া ও গভীর সেচের বিরুদ্ধে জলাশয়ের পানিতে পর্যাপ্ত মা'মাছ রক্ষায় বিশেষ তদারকির প্রয়োজনও মনেকরেন।
হাওরাঞ্চলের নদী,নালা,খাল,বিলের গর্তে আটকে থাকা মা'মাছ থাকলেই ভবিশ্যতে টিকবে মাছের প্রজনন।নতুবা বর্ষার মৌসুমে মৎস শ্রমিকের চোখে কান্না ছাড়া আর কি?অন্যদিকে পোনা আহোরণের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধাজনক স্থান এবং নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবী করেছেন মৎসপ্রেমী জনমানুষ।
হাওর গবেষক সজল কান্তি সরকার বলেন-দেশীয় মাছের বিলুপ্তির কারণ হিসেবে বলতে গেলে অনেকগুলো উঠে আসে।যেমন হাওরে বা বিলে পানি প্রবেশ ও নিষ্কাষন ব্যাবস্থা করতে হবে।সেইসাথে হাওরাঞ্চলে সেচ বন্ধ ও মশারী জাল ব্যবহার বন্ধ করা জরুরী।হাওরে সমান্য টাকার বিনিময়ে হাঁস উন্মুক্ত ভাবে বিছরণ করানো যাবে না।ইজারাদারদের সচেতন হতে হবেই।কেননা পোনা জাতীয় মাছ হাঁসে নষ্ট করে দেয়।এবং প্রজনন মৌসুমে কতৃপক্ষের তদারকি কঠোর করতে হবে।
ফসল রক্ষায় বেড়িবাঁধ যদিও উপকারী,মাছের চলাচলে অনেকটা ক্ষতি করেছে।প্রতিবছরেই মাছের পোনার অভয়ারণ্য না'থাকায় প্রজনন মৌসুমে প্রচন্ড খড়ায় অধিকাংশ পোনা মাছ নষ্ট হয়।যার ফলে সর্বদিকেই প্রভাব পরেছে।
মধ্যনগর উপজেলার মৎসপ্রেমী জনগনের জোড়দাবী রয়েছে মধ্যনগরের প্রতিটি হাওরেই যেন পর্যাপ্ত পরিমান পোনা অবমুক্ত করা হয়।এবং শুকনো মৌসুমে একেবারেই মৎস সম্পদ রক্ষাকারী কতৃপক্ষের থাকেনা কোন তদারকি তাই আগামীদিন মাছের অসংখ্য প্রজাতি নাপাওয়াটাই স্বাভাবিক। মাছে বাতে বাঙ্গালিকে বাচিয়ে রাখতে প্রশাসনিক সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
এবিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃমাহমুদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন,সুনিদ্রিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই মৎস সংরক্ষণ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।