সুনামগঞ্জের শাল্লায় হবিবপুর ইউনিয়নের নারকিলা গ্রামের পাবেল আহমেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদকের (চোলাই মদ) গডফাদার, মানুষের কাছ থেকে চাহিদা মতো চাঁদা না পেলে ইচ্ছেমতো মানুষকে হয়রানি সহ নানান অভিযোগ পাওয়া যায়।
রবিবার (২৩ মার্চ) শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষে শাশখাই গ্রামের হরিলাল দাস মাদকের গডফাদার পাবেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার নারকিলা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ পাবেল আহমেদ একজন উগ্র, বেপরোয়া, মাদক ব্যবসার গডফাদার, খতিয়ানভূক্ত ভূমি খেকো ও একজন হলুদ সাংবাদিক। সাংবাদিকতার লেবাসে এলাকায় বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কাজ সংগঠিত করে চলছে। সেই সুবাদে চাঁদার জন্য প্রায়ই বিভিন্ন লোকজনকে সাংবাদিকতার লেবাসে জিম্মি করিয়া ফেলে। চাহিদা মতো চাঁদা না পেলেইে ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজনের বিরুদ্ধে নানা ভুয়া সংবাদ প্রচার করে হেয়প্রতিপন্ন করে। শুধু তাই নয়, পাবেল নারকিলা চোরপল্লীতে দেশীয় চোলাই মদ তৈরীর গডফাদার। ওই চোর পল্লীর ৩৮ টি পরিবারে দেশীয় চোলাই মদ প্রস্তুত ও পাইকারী হারে বিক্রি করা হয় পাবেলের প্রশয়ে। ইতিপূর্বে চোলাই মদ প্রস্তুতকারীগণ শাল্লা থানা পুলিশের নিকট প্রকাশ করেছিল যে, তারা সাংবাদিক মোঃ পাবেল আহমদকে প্রতি মাসে বাটোয়ারা দিয়ে থাকে। পাবেল এলাকায় সাধু সাজতে নারকিলা চোরপল্লী ত্যাগ করে ব্রাহ্মণগাঁও মৌজার ব্রাহ্মণগাঁও লোপকাটিং নদীর পূর্ব পাড়ে বসতবাড়ি নির্মাণ করে। যা সরকারি ভূমি বটে। এখানে বসতি শুরু করেই মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে এলাকার যুব সমাজকে একেবারে ধ্বংস করে চলেছে। এই মূহুর্তে মাদকের গডফাদার পাবেলকে টেকাতে না পারলে বর্তমান-ভবিষ্যত প্রজন্ম নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই এলাকাবাসীর শান্তির নিমিত্তে পাবেলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।